Thursday, November 6, 2014

ভর্তি পরীক্ষা :- বন্ধ হবে ডিজিটাল চুরি, বাড়বে গ্রহনযোগ্যতা

একটা নিউজ পড়লাম ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ক্যালকুলেটর মত দেখতে(কিন্তু এটিতে সিমকার্ড,ক্যামেরা ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে) একটি ডিভাইস সহ একজন অাটক হয়েছে।সে পরীক্ষা কেন্দ্রে বসে প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠাচ্ছিল এবং তার কিছুক্ষণ পরেই স্ক্রিনে উত্তর ভেসে উঠছিল।এরকম নিউজ অারও অাগে থেকে শোনা যাচ্ছে অার এও জানা গেছে এই ডিভাইসগুলো একটা চক্র শিক্ষার্থীদের ভাড়া দিচ্ছে।কিন্তু তারা ধরা পড়ছে এরকম কিছু কখনও শোনা যায়নি অার শোনা যাবে বলে মনে হয় না(এটা বাংলাদেশ!!!)।
তাই অামার মনে হয় সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর সহ সব ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস নিষিদ্ধ করা উচিত।এখন বলতে পারেন এত অল্প সময়ে ক্যালকুলেটর ছাড়া ম্যাক্সিমাম প্রশ্নেরই উত্তর দেয়া সম্ভব না।তাহলে...?ম্যাট্রিক্স গুন বা ইন্ট্রিগেশন বা ডিফারেন্সিয়েশন etc. ক্যালকুলেটরে সলভ করে গোল্লা(বৃত্ত) ভরাট করে দিলাম..... অার অামাকে যোগ্য ঘোষনা করা হল....অাসলেই কি অামি যোগ্য?
এমন প্রশ্ন করলে কি ভাল হয় না যেটা পরীক্ষার্থীকে চিন্তা করে উত্তর দিতে হবে,ক্যালকুলেশন গুলো ক্যালকুলেটর ছাড়াই করতে পারবে এক কথায় মূল বিষয়টা জানলে উত্তর দিতে পারবে।এর উদাহরন হতে পারে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্জিনিয়ারিং ইউনিটের(E) ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি।অাশা করি অদূর ভবিষ্যতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলো এরকম ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি শুরু করবে।

Thursday, November 28, 2013

SSC Exam - 2014 Routine

POSTED BY MD A R JOY
এস এস সি পরীক্ষা ২০১৪ এর সময়সূচী প্রকাশিত হয়েছে।
pdf ফরম্যাটে ডাউনলোড করুন -
SSC Routine 2014
অথবা ইমেজ ফরম্যাটে দেখুন -

Thursday, September 19, 2013

হাতিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য(ইসলাম প্রচার ও বড় মসজিদ)

হাতিয়ার বিভিন্ন সংগঠন থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিন, সাবেক উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আমীন রচিত ‘তিলোত্তমা হাতিয়া : ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ বই ও দ্বীপের প্রবীণদের কাছ থেকে হাতিয়ার ইতিহাস সম্পর্কে জানা গেছে, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ শতাব্দীর দিকে বঙ্গোপসাগর আর মেঘনার মোহনায় গড়ে ওঠা সবুজে ঘেরা দ্বীপটি মানুষের নজরে আসে। কিংবদন্তি রয়েছে, পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে বার আউলিয়া নামে খ্যাত বারজন আউলিয়া মাছের পিঠে সওয়ার হয়ে বাগদাদ থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে হাতিয়ায় বিশ্রাম নিয়েছিলেন।বিশ্রামকালে সন্দ্বীপ-হাতিয়ার অনেক মানুষ তাদের হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। হজরত সুলতান ইব্রাহীম বলখি মাহীসাওয়ারও মাছের পিঠে চড়ে হাতিয়ায় এসেছিলেন। বিখ্যাত সাধক বায়েজিদ বোস্তামী এবং হজরত শাহ আলী বোগদাদি হাতিয়ায় কিছুদিন অবস্থান করেছিলেন। এর পর থেকে হাতিয়ায় প্রচুর আরব সাধক এসেছিলেন। সর্বশেষ একাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খিলজির বঙ্গ বিজয়ের চারশ’ বছর আগে ৭ম শতাব্দীতে কিছু আরব বণিক ধর্ম প্রচারের জন্য সমুদ্রপথে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় মনোরম এই দ্বীপটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে দ্বীপে কিছুকাল অবস্থান করেন। এসব আরব বণিক ও সাধক দ্বীপে বসবাসরত কিরাত সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষদের মাঝে ইসলাম প্রচার করেন।
        
তিহাসে বাংলাদেশে ইসলামের প্রবেশদ্বার হিসেবে চট্টগ্রামকে ধরা হলেও হাতিয়াতেই ইসলামের
সূত্রপাত হয় বলে বিশ্বাস করেন দ্বীপের মানুষেরা। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে এখানে একটি বৃহত্তম জামে মসজিদ গড়ে ওঠে। এটিই ছিল হাতিয়ার ঐতিহাসিক প্রথম জামে মসজিদ। নির্মাণের প্রায় ৮০০ বছর পর ১৭০২ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৫৮ সালে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মজিদের নকশায় পুরনো সেই মসজিদের আদলে মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন হিসেবে এখানে আরেকটি মসজিদ গড়ে তোলা হয়। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত মসজিদটি অক্ষত ছিল।